বিদ্যাঘর ( BIDYAGHOR )

বিদ্যাঘর সম্পর্কে

বিদ্যাঘর তথ্য ভান্ডারে আপনাকে স্বাগতম । এখানে বিদ্যাঘর তথ্য ভান্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে – – –

বিদ্যাঘর অর্গ সকলের সতস্ফুর্ত প্রচেষ্টায় সঞ্চিত একটি অনন্য তথ্য ভান্ডার যা একজন শিক্ষার্থীর সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় তথ্যকে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করে।

বিদ্যাঘর তথ্য ভান্ডার ধারণার উদ্ভব

মানুষ তাদের অর্জিত তথ্য ও জ্ঞানকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধারণ করে আসছে। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রতি প্রজন্মের মানুষদের তথ্য ও জ্ঞানকে সঞ্চয় করে রাখার সহজ ও আধুনিক পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রচেষ্টায়। এ প্রয়োজনীয়তা মানুষ অনুভব করেছে মহাবিশ্বে তাদের স্ব-অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার তাগিদে। এর ফলশ্রুতিতে মানুষ এই পৃথিবীর বিশাল সময় ভ্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে আবিষ্কার করেছে নানা তথ্য ও পদ্ধতি। প্রাচীন মানুষদের ইশারা ভাষা, চিত্রকর্ম থেকে বর্তমান মানুষদের ভাষার মৌখিক ও লিখিত রূপ, তথ্যকে পাথরের গায়ে লিখে রাখা থেকে বর্তমান কম্পিউটার প্রযুক্তিতে ডেটাবেসে সঞ্চয় করে রাখা সবই মানবজাতির তথ্য সঞ্চয়ের প্রচেষ্টারই অংশ মাত্র।

তারই ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালী চেতনায় বিশ্বাসী জাতিগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিশ্বজ্ঞানের সাথে সংযোগ ঘটানোর জন্য উন্নত তথ্যভান্ডার তৈরির প্রচেষ্টা থেকেই উদ্ভব হয়েছে বিদ্যাঘর ধারণা যার প্রধান লক্ষ্য ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে ধারাবাহিকভাবে বিশ্বজ্ঞানের দ্বার পর্যন্ত সিঁড়ি তৈরি করা।

বিদ্যাঘর তথ্য ভান্ডারের বৈশিষ্ট্য

বিদ্যাঘরে রয়েছে কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য যা তথ্যকে বিন্যাস করেছে নতুন ধারায়। বিদ্যাঘরের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো।

  • বিদ্যাদ্বার – তথ্যকে প্রাসঙ্গিক ও ধারাবাহিকভাবে বিন্যাস্ত করার লক্ষ্যে বিদ্যাঘর তথ্য ভান্ডার কতগুলো ভাগে বিভক্ত যার প্রত্যেক ভাগকে বলা হয় বিদ্যাদ্বার। প্রতিটি বিদ্যাদ্বার জ্ঞানের এক একটি স্তর হিসেবে বিবেচিত। বিদ্যাঘরে মোট ৫টি স্তর বা বিদ্যাদ্বার রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম ৩টি বিদ্যাদ্বারকে মৌলিক বিদ্যাদ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মৌলিক বিদ্যাদ্বারগুলো হল – ১. প্রাথমিক বিদ্যাদ্বার, ২.মাধ্যমিক বিদ্যাদ্বার, ৩.উচ্চতর বিদ্যাদ্বার। এই ৩টি বিদ্যাদ্বারে শিক্ষার্থীর সাধারণ প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এই ৩টি বিদ্যাদ্বারের নির্যাস নিয়ে সকলের উপযোগী করে একটি বিদ্যাদ্বার তৈরি করা হয়েছে যথাঃ ৪. সর্বজনীন বিদ্যাদ্বার। এই বিদ্যাদ্বারটিতে ব্যবহারিক প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যাঘরে আর একটি বিদ্যাদ্বার রয়েছে যথাঃ ৫. পেশাগত বিদ্যাদ্বার।
  • বিদ্যাগুচ্ছ –
  • বিদ্যাপাতা –
  • বিদ্যাকোষ –
  • বিদ্যাবিন্দু –
  • বিদ্যাভ্রমণ –
  • বিদ্যামুখ –

বিদ্যাঘরে তথ্য ভান্ডারে জানার প্রক্রিয়া

মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি করে সঞ্চিত সকল তথ্যকে এখানে কতগুলো ভাগে ভাগ করা হয়েছে যার প্রতিটি ভাগই এক একটি বিদ্যাদ্বার। প্রতিটি বিদ্যাদ্বারে রয়েছে অসংখ্য বিদ্যাগুচ্ছ আর এগুলোই বিদ্যাঘরের তথ্যভান্ডার।

বিদ্যাঘর প্রক্রিয়ার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হচ্ছে বিদ্যাভ্রমণ। যে কোন বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বলা হয় বিদ্যাভ্রমণ এবং সংগৃহীত তথ্যের পুঞ্জিকে বলা হয় বিদ্যাগুচ্ছ। একই সাথে বিদ্যাগুচ্ছ পুনরায় পাঠ করাও বিদ্যাভ্রমণের অন্তর্ভুক্ত।

বিদ্যাঘর অবদানকারীগন বিশ্বজ্ঞান থেকে বিদ্যাভ্রমণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তথ্য প্রবাহ অনুযায়ী সম্পর্কিত করে বিদ্যাগুচ্ছ প্রস্তুত করেন। অতপর বিদ্যাগুচ্ছটিকে বিদ্যাঘরের কাঙ্খিত বিদ্যাদ্বারে প্রকাশ করেন। অপরদিকে বিদ্যাঘর পাঠকগণ বিদ্যাঘরের বিভিন্ন বিদ্যাদ্বার থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যাগুচ্ছটি খুজে বের করেন এবং পুনরায় বিদ্যাভ্রমণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন।

এভাবেই জানতে জানাতে বিদ্যাঘর অর্গ একটি অনন্য শিক্ষা মাধ্যম। নিচে বিদ্যাঘর অর্গের জানার প্রক্রিয়াটি প্রবাহচিত্রে দেখানো হলো।

অবদানকারীগন – বিদ্যাভ্রমণ > বিদ্যাগুচ্ছ > বিদ্যাদ্বার ।

পাঠকগণ – বিদ্যাদ্বার > বিদ্যাগুচ্ছ > বিদ্যাভ্রমণ ।

তথ্য প্রবাহ

যেহেতু বিদ্যাঘর তথ্যকে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করে। তাই বিদ্যাঘরে তথ্য প্রবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তথ্য প্রবাহ বলতে এমন একটি পদ্ধতিকে বুঝানো হচ্ছে যেভাবে তথ্যগুলোকে সম্পর্কিত করে উপস্থাপন করা হয়।

বিদ্যাঘর সম্পর্কে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিছু তথ্যাদি

বিদ্যাঘর তথ্য ভান্ডার বিদ্যাঘর এডুকেশন নেটওয়ার্ক (২০১৭ সাল থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত সফটওয়ার তৈরির লক্ষ্যে গবেষণা করে আসছে) দ্বারা পরিচালিত একটি অর্গানাইজেশন। যা সম্পুর্ণ বিনা মুল্যে শিক্ষা ও ক্যারিয়ার ভিত্তিক তথ্য প্রদান করে থাকে। বিদ্যাঘর অবদানকারীগণ ও পাঠকগণ কিছু নীতিমালা দ্বারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সাথে বিদ্যাঘর তার সমস্ত তথ্য উপাত্ত ও নিয়মনীতির উপর সর্বস্ব্ত্ব অধিকার সংরক্ষণ করে।