প্রত্যেক শিক্ষকই একজন দার্শনিক এটি একটি টাইপ শ্লোগান। এর তাৎপর্যগত মর্মার্থ অত্যান্ত গভীর। এতে গভীর দার্শনিক চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে। একজন আদর্শ শিক্ষক একজন সাধারণ মানুষ এমনটি ভাবা ঠিক নয়। একজন আদর্শ শিক্ষকের মাঝে অবশ্যই বিশেষ কিছু মানবীয় চেতনা বিদ্যমান রয়েছে। কারণ শিক্ষকতা মহান স্রষ্টার মনোনীত উত্তম পেশা। সমাজের যে কেউ শিক্ষকতার মত মহান পেশায় পদার্পণ করতে পারেন। শিক্ষকতার জন্য আলাদা বিশেষ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। যাদের মাঝে স্রষ্টা প্রদত্ত এসব যোগ্যতা রয়েছে তারাই শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় আত্মনিয়োগ করতে পারেন।
প্রত্যেক শিক্ষকই আলোকিত ব্যক্তিভুক্ত। তারা সমাজের আলোক বর্তিকা, পথ প্রদর্শক, পরিচালক, নিয়ন্ত্রক এবং সমাজ শাসক। শিক্ষক তার শিক্ষার্থীর কাছে অনুকরণ এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। শিক্ষকের জ্ঞান, দক্ষতা, প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীর বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক। তিনি জানেন কিভাবে শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ সাধন করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি একজন দার্শনিকের ভূমিকা পালন করেন।
শিক্ষা দার্শনিক যেমন তার দর্শন দিয়ে শিক্ষাকে পরিশীলিত এবং বিমোহিত করে তেমনি ভাবে শ্রেনী শিক্ষক তার প্রজ্ঞা এবং দক্ষতা দিয়ে তার শিক্ষার্থীদেরকে বিকশিত করে পরবর্তী সমাজ পরিশীলিত করণের কাজ করেন।
সুতরাং শিক্ষক শুধুই শিক্ষক তা নয়। বরং আদর্শ শিক্ষক একজন আদর্শ দার্শনিক, আদর্শ পরিচালক, মানুষ গড়ার শৈল্পিক কারিগর। তার দর্শনকে লালন করেই শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল কাজে জড়ায় এবং সমাজ বিনির্মাণের কর্মী হিসেবে আত্মনিয়োগ করে। এক্ষেত্রে শিক্ষকের শিক্ষা দর্শন পাথেয় হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। তাই বলা হয় প্রত্যেক শিক্ষকই এক, একজন দার্শনিক।