অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত? কেন?
অ্যামিবা প্রোটিস্টা (Protista) রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের কারণে অ্যামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত-
১. এককোষী এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট।
২. কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে।
৩.খাদ্যগ্রহণ শোষণ বা গ্রহণ পদ্ধতিতে ঘটে।
৪. মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযোন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে।
৫. কোনো ভ্রুন গঠিত হয়।
Nostoc কে আদিকোষী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
Nostoc মনেরা রাজ্যের জীব। এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোজোম আছে। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। তাই Nostoc-কে আদিকোষী বলা হয়।
Penicillium প্রকৃতকোষী কেন?
Penicillium প্রকৃতকোষী জীব। কারণ, এদের দেহকোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ, নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে নিউক্লিয় বস্তু পরিবেষ্টিত ও
সুসংগঠিত। এছাড়াও এদের দেহকোষে রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে।
প্রটিস্টা রাজ্যের জীবগুলোকে ইউক্যারিওট বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবগুলোকে ইউক্যারিওট বলা হয়। কারণ-
i. এরা প্রকৃতকোষ (নিউক্লিযাস সুগঠিত) বিশিষ্ট এককোষী বা বহুকোষী জীব।
ii.রাইবোসোমসহ কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে।
iii. ক্রোমাটিন ব্যাত DNA, RNA এবং প্রোটিন থাকে।
শারীরবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন?।
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় শুধু তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভৌত জীববিজ্ঞান বলে।
শারীরবিদ্যা (Physiology) শাখায় জীবদেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈবরাসায়নিক কার্যাদি, যেমন শ্বসন, রেচন, সালোকসংশ্লেষণ ইত্যাদি আলোচনা করা হয়। এছাড়া জীবের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজের বিবরণ এ শাখায় পাওয়া যায়, যা একটি ত্বত্তীয় বিষয়। এ কারণেই শারীরবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয়।
মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
মানুষের আঁকড়ে ধরার উপযোগী হাত এবং ঘ্রাণ অপেক্ষা দৃষ্টিশক্তি বেশি উন্নত হয়। আর এ বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকার কারণেই মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলা হয়।
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের বংশবৃদ্ধি কীভাবে ঘটে?
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণিরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ ও স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ভ্রুণ বিকাশকালীন সময়ে দলীয় স্তর সৃষ্টি হয়।
কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জীবজগৎকে পাচঁটি রাজ্যে ভাগ করা হয়?
নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে জীবজগৎকে পাচঁটি রাজ্যে ভাগ করা হয়-
১. কোষের DNA ও RNA এর প্রকারভেদ
২. জীবদেহে কোষের বৈশিষ্ট্য
৩. কোষের সংখ্যা
৪. খাদ্যাভ্যাস
ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয় কেন?
ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলার কারণ:
১. ব্যাকটেরিয়া একটি এককোষী আণুবীক্ষণিক জীব।
২. কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকলেও নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়ার পর্দা নেই।
৩. কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা নেই কিন্তু রাইবোজোম আছে।
প্রোক্যারিওটা বা আদি কোষী জীবের উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকায় ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বা মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয়।
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবদের গঠন বৈশিষ্ট্য লিখ।
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের গঠন বৈশিষ্ট্য-
১. এরা সুকেন্দ্রিক ও বহুকোষী প্রাণী।
২. এদের কোষে কোন জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর থাকে না।
৩. প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রফিক অর্থাৎ পরভোজী।
৪. এদের দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান।
মানুষের প্রজাতি Sapiens বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
মানুষের প্রজাতি Sapiens বলার কারণ, এদের দেহ হলো চওড়া এবং খাড়া কপাল, খুলির হাড় Homo গণের অন্য প্রজাতির তুলনায় পাতলা এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উন্নত। তাই মানুষের প্রজাতিকে Sapiens বলা হয়।
লিনিয়াসকে দ্বি-পদ নামকরণের জনক বলা হয় কেন?
সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম জীবের নামকরণের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। তাই তিনি ‘Species planterum’ গ্রন্থে জীবের নামকরণের ক্ষেত্রে দ্বিপদ নামকরণ নীতি প্রবর্তন করেন এবং গণ ও প্রজাতির সংজ্ঞা দেন। তিনিই প্রথম ঐ গ্রন্থে শ্রেণি, বর্গ, গণ এবং প্রজাতি ধাপগুলো ব্যবহার করেন। তাই ক্যারোলাস লিনিয়াসকে দ্বি-পদ নামকরণের জনক বলা হয়।
প্রশ্ন-১৩। ‘ফানজাই এর বৈশিষ্টাগুলো কী কী?
উত্তর: এরা অধিকাংশ স্থলজ, মৃতজীবী ও পরজীবী। দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষপ্রাচীর কাইটিন বা দিয়ে গঠিত। এদের খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে। এদের ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশ বৃদ্ধি ঘটে। মিয়োসিস এর মাধ্যমে কোষ বিভাজন ঘটে। উদাহরণ: ইস্ট, Penicillium, মাশরুম ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৪। মানুষকে হেটারোট্রফিক বলা হয় কেন?
উত্তর: মানুষ নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট ও বহুকোষী প্রাণী। মানুষের কোষে কোনো জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নেই। প্লাস্টিড না থাকায় মানুষ নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করতে পারে না। এ কারণে মানুষ হেটারোট্রফিক অর্থাৎ । পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে। দেহে জটিল টিস্যু এর বিদ্যমান। তাই অমানুষকে হেটারোট্রফিক বলা হয়।
প্রশ্ন-১৫। শ্রেণিবিন্যাস বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশার উপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্তি করনকে শ্রেণিবিন্যাস বলা হয়। এই মাধ্যমে এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগৎকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা সম্ভব।
প্রশ্ন-১৬। ইস্ট স্বভোজী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেসব উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে তাদেরকে স্বভোজী বলা হয়। স্বভোজী উদ্ভিদে ক্লোরোপ্লাস্ট উপস্থিত থাকে। কিন্তু ঈস্টে ক্লোরোপ্লাস্ট না থাকায় নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে না। খাদ্যের জন্য অন্য জীবের উপর নির্ভর করতে হয়। তাই ঈস্ট স্বভোজী না অর্থাৎ পরভোজী।
প্রশ্ন-১৭। মনেরা রাজ্যের জীবসমূহ কী কী বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে?
উত্তর: এর এককোষী, ফিলামেন্টাস, কলোনিয়াল। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোসোম আছে। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে। তবে কেউ কেউ ফটোসিনথেটিক বা কেমোসিনথেটিক (রাসায়নিক সংশ্লেষ) পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে।
১৮। জীববিজ্ঞান বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্রকৃতিতে সাধারণ জড় পদার্থ ও জীব এই দু’ধরনের বস্তু পাওয়া যায়। আর জীবর জীবনও গুণাগুণ নিয়ে যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে জীববিল্লাম বলে। জীববিজ্ঞান প্রকৃতি বিজ্ঞানের একটি প্রাচীনতম শাখা।
১৯। শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্যগুলো কী কী?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো-
১) প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা।
(২) জীব জগতের ভিন্নভার প্রতি আলোকপাত করে আহরিক জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা।
(৩) পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা।
(৪) সর্বোপরি জীবজগাং ও মানব কল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবসমূহতে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষন অথবা প্রজাতিগত সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া।
প্রশ্ন-২০। জীবের শ্রেণিবিন্যাস প্রয়োজন কেন?
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাস হলো জীবজগতকে সহজে জানার একটি পদ্ধতি। জীবের জাতিজনিত বিভিন্ন তথ্য, জীবকুলের বিবর্তনিক ধারা নির্ণয় ও নতুন প্রজাতি শনাক্তকরণের জন্য শ্রেণিবিন্যাস প্রয়োজন। এছাড়া এই বিশাল জীবজগতকে ভালোভাবে জানা, বোঝা ও শেখার সুবিধার্থে এর প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে জীবের শ্রেণিবিন্যাস অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য জীবের শ্রেণিবিন্যাস করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন-২১। দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বুঝ?
উত্তর : জীবের নামকরণের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী গণ ও প্রজাতি নামের দুটি পদ ব্যাবহার করে জীরের যে নামকরণ হয় তাকে দ্বিপদ নামতকরণ বলে। এখাবে সৃষ্ট নামকে জীবের বৈজ্ঞানিক নামও বলে। দ্বিপদ নামকরণ অনুযায়ী মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম: Homo Sapiens
প্রশ্ন-২২। মারগুলিস এর সুপার কিংডমগুলো কী কী?
উত্তর: মারগুলিস ১৯৭৪ সালে হুইট্টেকার এর শ্রেণিবিন্যাসের পরিবর্তিত ও বিস্তারিত রূপ দেন। তিনি সমস্ত জীব জগতকে দুটি সুপার কিংডমে ভাগ করেন। যথা-
সুপার কিংডম-১: প্রোক্যারিওটা (Prokaryota)
সুপার কিংডম-২: ইউক্যারিওটা (Eukaryota
প্রশ্ন-২৩। প্রোক্যারিওটা ও ইউক্যারিওটা বলতে কী বুঝ?
উত্তত: এরা আদি কোষ বিশিষ্ট এককোষী-অণুবীক্ষণিক জীব। এসব কোষে নিউক্লিয়াস কোন পর্দা দ্বারা বেষ্টিত থাকে না। অর্থাৎ সুগঠিত নিউক্লিলাম নেই। যেমন ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ শৈবাল।
ইউক্যারিওটা: এরা প্রকৃত কোষবিশিষ্ট এককোষী বা বহুকোষী জীব। নিউক্লিয়াস সুগঠিত। যেমন। ম্যামিবা, বস্তুকোষী শৈতল, Penieillium
প্রশ্ন-২৪। গণ ও প্রজাতির মধ্যে ২টি পার্থক্য লেখ।
উত্তর: গণ ও প্রজাতির মধ্যে পার্থক্য দুটি হলো-
গণ
১. গণ হলো দ্বিপদ নামের প্রথম অংশ।
২. গণ অংশের প্রথম অক্ষর বড় হাতের অক্ষর হয়, বাকিগুলো ছোট অক্ষর হয়।
প্রজাতি
১. প্রজাতি হলো দ্বিপদ নামের দ্বিতীয় আশা।
২. প্রজাতি অংশের নাম ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে লিখতে হয়।
প্রশ্ন-২৫। আর এইচ হুইট্টেকার প্রদত্ত রাজ্যগুলোর নাম লিখ।
উত্তর: হুইট্টেকার প্রদত্ত রাজ্যগুলোর নাম:
রাজ্য-১: মনেরা (Monera)
রাজ্য-২: প্রোটিস্টা (Protista)
রাজ্য-৩: ফানজাই (Fungi)
রাজ্য-৪: প্লানটি (Plantae)
রাজ্য-৫: অ্যানিমেলিয়া (Animalia)
প্রশ্ন-২৬। ICZN ও ICBN এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর:
ICZN: International Code of Zoological Nomenclature.
ICBN: International Code of Botanical Nomenclature.
প্রশ্ন-২৭। কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয় কেন?
উত্তর: জীববিজ্ঞানের যে বিভাগ তত্ত্বীয় জ্ঞানের আলোকে জীববিজ্ঞানকে মানবকল্যাণে সুষ্ঠু প্রয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাদেরকে ফলিত জীববিজ্ঞান বলে। যেহেতু কীটতত্ত্ব কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে তাই এটিকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয়।
প্রশ্ন-২৮। প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের প্রজনন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও।
উত্তরা ;মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধমে প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে। কোনো প্রণী গঠিত হয় না।
প্রশ্ন-২৯। অ্যামিবা কোন রাজ্যের অর্ন্তগত জীব? রাজ্যটির অন্তর্ভুক্ত প্রাণিদের কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে?
উত্তর: অ্যামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্গত একটি এককোষী জীব।
এরা এককোষী বা বহুকোষী, একক বা কলোনিয়াল বা ফিলামেন্টাস এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে। কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে। খাদ্যগ্রহণ শোষণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে। কোনো ভ্রুণ গঠিত হয়না।