গ্রীন হাউস এফেক্ট কাকে বলে? গ্রীন হাউস গ্যাসগুলোর নাম লিখ।
গ্রীন হাউস গ্যাস বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঘটনাতে গ্রীন হাউস এফেক্ট বলে।
গ্রীন হাউস গ্যাস: এগুলো হল- কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), কার্বন মনোক্সাইড (CO), মিথেন (CH4), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) ইত্যাদি।
খাদ্য শিকল বলতে কি বুঝায়?
যে কোনো বাস্তুতন্ত্রের জীব উপাদানগুলোর মধ্যে প্রথম কাজে নামে উৎপাদক সবুজ উদ্ভিদ। তারা খাদ্য তৈরি না করলে তৃণভোজী প্রাণী ও মাংসাশী প্রাণীরা খাদ্য সঙ্কটে পড়ে মারা যেতে পারে। যখন খাদ্যশক্তি উৎপাদক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের খাদকদের মধ্যে প্রবাহিত হয়, তখন সেই প্রবাহকে এক সাথে খাদ্যশিকল বলা হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মাঠের সবুজ ঘাস উৎপাদক, ঘাসফড়িং সে ঘাসের অংশবিশেষ খেয়ে বাঁচে। ব্যাঙ ঐ ঘাসফড়িংকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, আর সাপ সে ব্যাঙকে আস্ত গিলে খায়। যদি মনে করা হয় সাপটি আকারে ছোট এবং আশেপাশে বেশ বড় একটি গুঁইসাপ আছে। তাহলে সুযোগ পেলে ঐ গুঁইসাপ সাপটিকে আবার গিলে খাবে। সেক্ষেত্রে খাদ্যশৃঙ্খলটিকে নিচের মতো করে লেখা যাবে।
ঘাস-উৎপাদক
ঘাস ফড়িং-প্রথম স্তরের খাদক
ব্যাঙ-দ্বিতীয় স্তরের খাদক
সাপ-তৃতীয় স্তরের খাদক
গুঁইসাপ-সর্বোচ্চ স্তরের খাদক
প্রশ্ন-৩। সিমবায়োসিস ও মিথস্ক্রিয়া বলতে কি বুঝ?
উত্তর: জীবজগতে বিভিন্ন প্রকার গাছপালা ও প্রাণীদের মধ্যে বিদ্যমান জৈবিক সম্পর্কগুলোকে সহ-অবস্থান বা সিমবায়োসিস (Symbiosis) বলা হয়। আর সম্পর্কযুক্ত জীবগুলিকে সহবাসকারী বা সহ-অবস্থানকারী বা সিমবায়োন্টস বলা হয়। এই সহ-অবস্থানকারী জীবগুলোর মধ্যে যে ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটে তাকে মিথস্ক্রিয়া বলা হয়।
প্রশ্ন-৪। শিকারজীবী খাদ্য শিকল বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যে খাদ্য শিকলে প্রথম স্তরের খাদক। আকারে সবচেয়ে ছোট থাকে এবং পর্যায়ক্রমে উপরের খাদকেরা নিচের স্তরের খাদকগুলো শিকার করে খেয়ে একে রারে শেষ করে দেয় সেরূপ শিকলকে বলা হয় শিকারজীবী খাদ্য শিকল। যেমন- ঘাস ফড়িং ব্যাঙ।
প্রশ্ন-৫। জৈব উপাদান বলতে কি বোঝ?
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ বা এসব জীবের মৃতদেহ থেকে যেসব জড় বস্তু বাস্তুতন্ত্রে যোগ হয় তাদের বলা হয় জৈব উপাদান। এগুলো সচরাচর হিউমাস নামে পরিচিত। হিউমাসের উপাদানের মধ্যে আছে ইউরিয়া, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিভিন্ন কোষ, টিস্যু, অঙ্গ ইত্যাদি। জৈব বস্তু উদ্ভিদের জন্য বেশি পুষ্টিকর।
প্রশ্ন-৬। খাদককে পরভোজী বলা হয় কেন?
উত্তর: ব্যস্তুসংস্থানের যে সব জীষ নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না এবং খাদ্যের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উৎপাদতের উপর নির্ভরশীল তাদেরকে খাদক বলে।জীবজগতের বেশিরভাগ খাদকই প্রাণী। যেমন- শালিক পাখি কীটপতঙ্গ খায়, সিংহ হরিগ খায় ইত্যাদি। খাদক জীবগুলো খাদ্যের জন্যে বা পুষ্টির জন্যে অন্য জীবের উপর নির্ভর করে বলে এদের পরভোজী বলা হয়।
প্রশ্ন-৭। বাস্তুসংস্থানের জড় উপাদানগুলোর নাম লিখ।
উত্তর: জড় উপাদানের মধ্যে রয়েছে-
(১) জৈব উপাদান- উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ বা এসব জীবের মৃতদেহ থেকে যেসব জড় বস্তু বস্তুতন্ত্রে যোগ হয় তাদের বলা হয় জৈব উপাদান।
(২) অজৈব উপাদান- পানি, বায়ু এবং মাটিতে অবস্থিত খনিজ পদার্থ অর্থাৎ যেসব পদার্থ কোনো জীবদেহ থেকে আসেনি বরং জীবের উদ্ভবের আগেই পরিবেশে ছিল সেগুলো ব্যস্তুতন্ত্রের অজৈব উপাদান।
প্রশ্ন-৮। ব্যাকটেরিয়া ও শিমজাতীয় উদ্ভিদের মধ্যের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া ও শিমজাতীয় উদ্ভিদের মধ্যকার সম্পর্ক হলো মিউচুয়ালিজম। রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া শিমজাতীয় উদ্ভিদের শিকড়ে অবস্থান করে গুটি তৈরি করে এবং বায়বীয় নাইট্রোজেনকে সেখানে সংবন্ধন করে। ব্যাকটেরিয়া এই নাইট্রোজেন সহযোগী শিম উদ্ভিদকে সরবরাহ করে এবং বিনিময়ে সহযোগী উদ্ভিদ থেকে শর্করাজাতীয় খাদ্য পেয়ে থাকে। অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া ও শিমজাতীয় উদ্ভিদ পারস্পারিক ক্রিয়ায় উভয়েই উপকৃত হয়।
প্রশ্ন-৯। শৈবাল ও ছত্রাকের সহাবস্থানকে মিউচুয়ালিজম বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মিউচুয়ালিজম হলো একটি ধনাত্মক আন্তঃসম্পর্ক যেখানে সহযোগীদ্বয়ের
উভয়ে উপকৃত হয়। এজন্য শৈবাল ও ছত্রাকের সহাবস্থানকে মিউচুয়ালিজম বলা হয়। কারণ ছত্রাক বায়ু থেকে জলীয় বাষ্প এবং খনিজ লবণ উভয় ব্যবহারের জন্য সংগ্রহ করে। অপরদিকে শৈবাল তার ক্লোরোফিলের মাধ্যমে নিজের জন্য ও ছত্রাকের জন্য শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে। এ কারণে শৈবাল ও ছত্রাকের সহাবস্থানকে মিউচুয়ালিজম বলা হয়।
প্রশ্ন-১০। উৎপাদককে কেন শক্তি পিরামিডের ভূমিতে রাখা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পিরামিডের সবচেয়ে নিচে উৎপাদক জ্বরের শক্তির পরিমাণ পরবর্তী ট্রাফিক লেভেলগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। উপরের ট্রাফিক লেভেলের জীব নিচের ট্রাফিক লেভেলের জীবদেহের চেয়ে শ্বসন এবং অন্যান্য কাজে ক্রমবর্ধমান হারে অধিক শক্তি তাপ হিসাবে হারায়। এজন্য উৎপাদক থাকে পিরামিডের ভূমিতে এবং চূড়ান্ত খাদক থাকে সবার উপরে।
প্রশ্ন-১১। হরিণকে পরভোজী বলা হয় কেন?
উত্তর: যেসব জীব খাদ্যের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল তাদেরকে বলা হয় পরভোজী জীব। যে সব প্রাণী সরাসরি উদ্ভিদ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে তাদেরকে বলা হয় তৃণভোজী প্রাণী। এদের অপর নাম প্রথম শ্রেণির খাদক। হরিণ প্রথম শ্রেণির খাদক। হরিণ খাদ্য বা পুষ্টির জন্য অন্য জীবের উপর নির্ভর করে বলে একে পরভোজী বলা হয়।
প্রশ্ন-১২। গরু মশা ডেঙ্গু ভাইরাস কোন ধরনের খাদ্য-শৃঙ্খল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গরু মশা ডেঙ্গু ভাইরাস শৃঙ্খলটি হলো পরজীবী খাদ্যশিকল।। এখানে পরজীবী জীব নিজেদের চেয়ে বড় আকারের পোষকদেহ থেকে খাদ্য গ্রহণ করেছে। খাদ্যশৃঙ্খলটিতে প্রথম ধাপে সবুজ উদ্ভিদ না থাকার ফলে একটি অসম্পূর্ণ খাদ্য শিকল গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন-১৩। অ্যান্টিবায়োসিস বলতে কী বুঝ?
উত্তর: একটি জীব কর্তৃক সৃষ্ট জৈব রাসায়নিক পদার্থের কারণে যদি অন্য জীবের বৃদ্ধি ও রিকাশ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে বাধাপ্রাপ্ত হয় অথবা মৃত্যু ঘটে তখন সেই প্রক্রিয়াকে অ্যান্টিবায়োসিস বলে। অণুজীবজগতে এ ধরনের সম্পর্ক অনেক বেশি দেখা যায়।
প্রশ্ন-১৪। প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বলতে সাধারণত পৃথিবীতে বিরাজমান জীবসমূহের মোট প্রজাতির সংখ্যাকেই বুঝায়। কারণ পৃথকযোগ্য বৈশিটোই এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতি ভিন্নতর। আর এই এক প্রজাতির সাথে অন্য প্রজাতির বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নতাই প্রজাতিগত বৈচিত্র্য।
প্রশ্ন-১৫। বাস্তুতন্ত্রের অজৈব উপাদানসমূহের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পানি, বায়ু, মাটিতে অবস্থিত খনিজ পদার্থ অর্থাৎ যেসব পদার্থ কোনো জীবদেহ থেকে আসে নি, বরং জীবের উদ্ভবের আগেই পরিবেশে ছিল সেগুলো বাস্তুতন্ত্রের অজৈব উপাদান, যেমন-ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড এসকল অজৈব উপাদান বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবের জীবন ধারণের জন্য অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড অপরিহার্য। অজৈব বস্তুসমূহের কারণে ব্যস্তুতন্ত্রের পরিবেশে ভারসাম্য বজায় থাকে।
প্রশ্ন-১৬। হায়েনাকে ধাঙর বলা হয় কেন?
উত্তর: যেসব খাদক জীবন্ত প্রাণীর চেয়ে মৃত প্রাণীর মাংস বা আবর্জনা যেতে বেশি পছন্দ করে তাদেরকে আবর্জনাতৃক প্রাণী বলে। যেমন, শকুন, শেয়াল, হায়েনা ইত্যাদি। এজন্য হায়েনাকে ধাঙর প্রাণী বলা হয়।
প্রশ্ন-১৭। জুয়োপ্লাঙ্কটন বলতে কী বুঝ?
উত্তর: ভাসমান ক্ষুদ্র প্রাণীদের জুয়োপ্ল্যাংকটন বলে। এ বাদকগুল্যে নিজের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে না তাই সরাসরি উৎপাদককে ভক্ষণ করে বেঁচে থাকে। এরা প্রথম স্তরের খাদক।
প্রশ্ন-১৮। খরগোশ বাস্তুতন্ত্রে কোন ট্রফিক লেভেলের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেসব প্রাণী সরাসাবি উদ্ভিদ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে, তাদেরকে বলা হয় তৃণভোজী প্রাণী। তৃণভোজী প্রাণীরা অর্থাৎ বাস্তুতন্ত্রের প্রথম স্তরের খাদকেরা সবুজ উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, ফুল, ফল, বীজ বা মূল খেয়ে জীবন ধারণ করে। তৃণভোজী খাদক অর্থাৎ প্রথম স্তরের খাদক দ্বিতীয় ট্রফিক লেভেলের প্রতিনিধি। খরগোশ যেহেতু তৃণভোজী প্রাণী, তাই খরগোশ বাস্তুতন্ত্রে দ্বিতীয় ট্রফিক লেভেলের প্রতিনিধিত্ব করে।
প্রশ্ন-১৯। CO₂ কে গ্রীন হাউস গ্যাস বলা হয় কেন?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত যেসব গ্যাসীয় উপাদান পৃথিবীকে ঢালের মতো ঢেকে রেখে উত্তপ্ত পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে বাঁধা দেয় এবং পৃথিবীপৃষ্ঠ ও এর উপরিভাগের বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে, এসব গ্যাসকে গ্রীন হাউস গ্যাস বলে।
CO₂ গ্যাসকে গ্রীন হাউস গ্যাস বলা হয় কারণ, CO, গ্যাস বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। গ্রীন হাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে CO₂। এটিই প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাস এবং পরিমাণে প্রায় ৫০%। তাছাড়া অন্যান্য গ্রীন হাউস গ্যাসের তুলনায় CO₂এর তাপ ধারণ ক্ষমতাও বেশি। তাই CO₂ কে গ্রীন হাউস গ্যাস বলা হয়।
প্রশ্ন-২০। মশা ও ডেঙ্গু ভাইরাস এর মধ্যে কী ধরনের খাদ্য শিকল বিদ্যমান?ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মশা ও ডেঙ্গু ভাইরাস এর মধ্যে বিদ্যমান শৃঙ্খলটি হলো পরজীবী খাদ্য শিকল। এখানে পরজীবী জীব নিজেদের চেয়ে বড় আকারের পোষকদেহ থেকে খাদ্য গ্রহণ করেছে অর্থাৎ একটি পরজীবীর উপর আরেক ধরনের ক্ষুদ্রতর পরজীবী তার খাদ্যের জন্য নির্ভরশীল হয়। খাদ্যশৃঙ্খলটিতে প্রথম ধাপে সবুজ উদ্ভিদ না থাকার ফলে একটি অসম্পূর্ণ খাদ্য শিকল গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন-২১।অণুজীবগুলোকে বিয়োজক বলা হয় কেন?
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি অতিক্ষুদ্র জীব বা অণুজীব, উদ্ভিদ এবং প্রার্থীর কর্তা পদার্থ এবং মৃতদেহ থেকে তাদের খাদ্য গ্রহণ করে এবং পরিণামে এসব বর্জ্য বিয়োজিত হয়ে মাটি বা পানির সাথে মিশে যায়। এই মিশে যাওয়া উপাদান তখন উদ্ভিদের পক্ষে আবার খাদ্য উপাদান হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব হয়। তাই তাই অগ্রজীবগুলোকে বলা হয় বিয়োজক বা পরিবর্তক।
প্রশ্ন-২২। স্বর্ণলতাকে কেন ঋণাত্মক আন্তঃক্রিয়া বলা হয়।
উত্তর: ঋণাত্মক আন্তঃক্রিয়ার ক্ষেত্রে জীবদ্বয়ের একটি বা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ক্ষেত্রে একটি জীব অন্য জীবকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজের অধিকার ভোগ করে। যেমন: স্বর্ণলতা। স্বর্ণলতা হস্টোরিয়া নামক চোষক অঙ্গের মাধ্যমে আশ্রয়দাতা উদ্ভিদ থেকে তার খাদ্য সংগ্রহ করে।
প্রশ্ন-২৩। মিউচুয়ালিজম বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: বিভিন্ন প্রকার গাছপালা ও প্রাণীদের মধ্যে বিদ্যমান তৈধিক অন্ত্রীসম্পর্কে ফলে যদি সহযোগীদের উভয়ই একে অন্যের দ্বারা উপকৃত হয় তাহলে তাকে = মিউচুয়ালিজম বলে। যেমন- শৈবাল ও ছত্রাকের আত্মসম্পর্কের ফলে সৃষ্ট লাইকেন মিউচুয়ালিজমের উদাহরণ।
প্রশ্ন-২৪। জীব বৈচিত্র্য কী? কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: পৃথিবীতে বিরাজমান জীবসমূহের প্রাচুর্য ও ভিন্নতাই হলো জীববৈচিত্র্য (Biodiversity)
প্রকারভেদ: তিন প্রকার। যথা-
(i) প্রজাতিগত বৈচিত্রা (Species diversity)
(ii) বংশগতীয় বৈচিত্রা (Genetical diversity)
(iii) বস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্রা (Ecosystem diversity)
প্রশ্ন-২৫। কমেনসেলিজম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে মিথস্ক্রিয়ায় আন্তঃসম্পর্ক গঠনকারী জীবদের মধ্যে মাত্র একজন উপকৃত হয়, অন্য সহযোগী উপকৃত না হলেও কখনো ক্ষতিগ্রস্থ হয় না সে মিথস্ক্রিয়াকে কমেনসেলিজম বলে। যেমন: রোহিণী উদ্ভিদ মূলের সাহায্যে নিজেকে মাটিতে আবদ্ধ করে এবং অন্য বড় উদ্ভিদে আহরোন করে উপরে উঠে। এগুলো বড় উদ্ভিদের ক্ষতি না করলেও নিজে বেশি সূর্যের আলো পেয়ে উপকৃত হয়।