প্রশ্ন-১। ডাইনোসরের বিলুপ্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বিবর্তমের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির উদ্ভবকালে দেখা যায় অনেক প্রতি কালের গর্ভে বিলুপ্ত হয়। দেখা গেছে সময়ের সাথে সে প্রজ্ঞাতিটির টিকে থাকার ক্ষমতা যত বেশি সে বিবর্তনের আবর্তে তত বেশি দিন টিকে থাকতে পারে। বিবর্তনের আবর্তে টিকতে না পেরে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
প্রশ্ন-২। পৃথিবীর থেকে ডায়নোসর লোপ পেয়েছে কিন্তু তেলাপোকা টিকে আছে কীভাবে?
উত্তর: বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির উদ্ভবকালে দেখা যায় অনেক প্রজাতি কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। সময়ের সাথে যে প্রজাতিটির টিকে থাকার ক্ষমতা যত বেশি, সে বিবর্তনের ধারায় তত বেশিদিন টিকে থাকতে পারে। অর্থাৎ পরিবেশ, জীবনপ্রবাহ ও জনমিতির মানদণ্ডে বিবর্তনে যে যত বেশি খাপ খাওয়াতে পারবে সেই প্রজাতিটি টিকে থাকবে। এটিকে অনেক ক্ষেত্রে অভিযোজন বলা হয়। তেলাপোকার অভিযোজন ক্ষমতা বেশি, তাই ডাইনোসরের মত প্রাণী লোপ পাওয়া সত্ত্বেও তেলাপোকা টিকে আছে।
প্রশ্ন-৩। প্রজাতির টিকে থাকায় বিবর্তন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির উদ্ভবকালে দেখা যায় অনেক প্রজাতি ক
ফলের গর্ভে বিলুপ্ত হয়। দেখা গেছে সময়ের সাথে সে, প্রজাতিটির টিকে থাকার কমতো যত বেশি সে বিবর্তনের আবর্তে তত বেশি দিন টিকে থাকতে পারে। বিবর্তনের আবর্তে টিকতে না পেরে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
প্রশ্ন-৪। লিঙ্গ নির্বারণে ক্রোমোসোম কীভাবে ভূমিকা রাখে?
উত্তর: মানবদেহে ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৬ টি বা ২৩ জোড়া। এর মধ্যে ২২ জোড়া বা ৪৪ টিকে অটোজোম (Autosome) এবং। জোড়াকে সেক্স ক্রোমোজোম (Sex chromosome) বলা হয়। সেক্স ক্রোমোজোম এক্স (X) এবং ওয়াই (Y) নামে পরিচিত। লিঙ্গ নির্ধারণে এরা মুখ্য ভূমিকা পালন করে। নারীদের ডিপ্লয়েড কোষে দুটি সেও ক্রোমোজোমই X ক্রোমোসোম অর্থাৎ XX, কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে দুটির মধ্যে একটি X অপরটি Y ক্রোমোজোম অর্থাৎ XY।
প্রশ্ন-৫। মানুষের বর্ণান্ধতা দেখা যায় কেন?
উত্তর: কালার ব্লাইড বা বর্ণান্ধ অবস্থায় রোগীদের চোখে স্নায়ু কোষের রং শনাক্তকারী পিগমেন্টের অভাব থাকে। যদি কারো একটি পিগমেন্ট না থাকে-তখন সে লাল আর সবুজ পার্থক্য করতে পারে না। এটি সর্বজনীন কালার ব্লাইড সমস্যা। একাধিক পিগমেন্ট না থাকার কারণে লাল এবং সবুজ রং ছাড়াও রোগী নীল এবং হলুদ রং পার্থক্য করতে না।
প্রশ্ন-৬। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আয়রন ট্যাবলেট খেতে দেয়া হয় না? ব্যাখা কর।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আয়রনসমৃদ্ধ ট্যাবলেট বা ফল খেতে দেয় হয় না. কারণ তা শরীরে জমে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া যকৃত নষ্ট হলে জন্ডিস, অগ্ন্যাশয় নষ্ট হলে ডায়াবেটিস ইত্যাদি নানা প্রকার রোগ ও রোগ লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
প্রশ্ন-৭। প্রাণীরা আত্মরক্ষায় অনুকৃতির আশ্রয় নেয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে বৈশিষ্ট্য, স্বভাব প্রবৃত্তি জীব বা তার বংশধরকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম করে তোলে, সেসব জীব অনুকূল বৈচিত্র্যের অধিকারী হয়। এই গুণাবলী বংশ পরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে থাকে। অপরপক্ষে, প্রতিকূল বৈচিত্র্যসম্পন্ন জীব, জীবনসংগ্রামে পরাজিত হয়ে কালক্রমে ধ্বংস হয়। ডারউইন জীবজগতের এ ধরনের অভিযোজনকে প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার সংগ্রামে টিকে থাকার প্রধান অবলম্বন মনে করেছেন। প্রকৃতিতে অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী এমন কিছু অভিযোজনের অধিকারী হয়, যা তাদের বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ সহায়ক। মরুভূমিতে অনেক গাছের পানি সংরক্ষন করার কৌশল, প্রাণীর আত্নরক্ষায় ছদ্মবেশ কিংবা অনুকৃতির আশ্রয় নেয়।
প্রশ্ন-৮। DNA কে বংশগতির রাসায়নিক ভিত্তি বলা হয় কেন?
বা DNA কে বংশগতির রাসায়নিক ভিত্তি বলা হয় কেন?
উত্তর: DNA ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান। DNA-ই জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকৃত ধারক এবং বাহক, যা জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সরাসরি বহন হারে মাতাপিতা থেকে তাদের বংশধরে নিয়ে যায়। এজন্য DNA কে বংশগতির রাসায়নিক ভিত্তি (Chemical basis of heredity) বলা হয়।
প্রশ্ন -৯। বিবর্তন বলতে কী বুঝায়া
উত্তর:রক্ত পৃথিবীতে বর্তমানে যত জীব রয়েছে তারা বিভিন্ন সময়ে এই ভূমণ্ডলে রাবির্ভূত হয়েছে। আবার অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী সময়ের আবর্তে লুপ্ত হয়ে গায়। ডাইনোসর আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে লুপ্ত হয়ে গেছে। এবার কোনো কোনো জীব ধীর পরিবর্তন ঘটিয়ে এখনও টিকে আছে। কয়েক মমার বছর সময়ের ব্যাপকতায় জীব প্রজাতির পৃথিবীতে আবির্ভাব ও টিকে স্কের জন্যে যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া তাকে বিবর্তন বলে।
প্রশ্ন-১০। কালার ব্লাইন্ড কেন হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :কালার ব্লাইভ এমন এক অবস্থা যখন কেউ কোনো রঙ সঠিকভাবে চিনতে পারে না। এটি বংশগত কারণ অথবা কোনো কোনো ঔষধ যেমন, ব্ত রোগের জন্য হাইড্রক্স-ক্লোরোকাইনিন সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চোখের রঙিন পিগম্যান্ট হয়ে যোগী কালার ব্রাইন্ড হয়ে থাকে।
প্রশ্ন -১১। জীনকে বংশগতির ধারক বলা হয় কেন?
উত্তর: জীনই বংশগতির নিয়ন্ত্রক। জিনগুলো সাধারণ নিয়মে ক্রোমোসোমের DNA অনুসূত্রের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত পৃথক ও রৈখিকভাবে পরপর সাজানো থাকে। সাধারণত একটি জিন একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য থাকে।কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক জিন মিলিত হয়ে একটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। জিনগুলোই বংশগতির বৈশিষ্ট্যসমূহ নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য জীনকে বংশগতির ধারক বলা হয়।
প্রশ্ন- ১২। জৈব বিবর্তন বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : কয়েক হাজার বছর সময়ের ব্যাপকতায় জীব প্রজাতির পৃথিবীতে আবির্ভাব ও টিকে থাকার জন্যে যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া হাতে হল জৈব বিবর্তন বলে। পৃথিবীতে বর্তমানে যত জীব এসেছে তারা অনেকেই সময়ের আবর্তে লুপ্ত হয়ে গেছে। যেমন- ডাইনোসর। আবার কোনো কোনো পরিবর্তন ঘটিয়ে এখনও টিকে আছে। এই টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে, শারীরিক গঠন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য এই যে পরিবর্তন ও অভিযোজন একেই জৈব বিবর্তন বলে।
প্রশ্ন-১৩। কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগের নাম বালাসেমিয়া। দুধরনের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়। যথা- আলফা (a) থ্যালাসেমিয়া এবং বিটা (B) থ্যালাসেমিয়া। বিটা (B) থ্যালাসেমিয়াকে ‘কুলির থ্যালাসেমিয়া’ বলা হয়। B- গ্লোবিউলিন প্রোটিন উৎপাদন ব্যাহত হলে এই রোগ হয়ে থাকে।
প্রশ্ন- ১৪।Survival of the fittestটর তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর Survival of the fittest বা যোগ্যতমের জয় কথাটি হল ডারউইনবাদের একটি ধাপ। এর তাৎপর্য হলো- জীবন সংগ্রামে লিপ্ত জীবগোষ্টির মধ্যে যারা পরিস্থিতির উপযুক্ত মোকাবিলা করতে পারে শুধু তাতই বেচে থাকবে। এসব জীবদেহে স্বভাবতই দেখা দেয় অনুকূল প্রকরণ যা প্রতিকুল পরিবেশের জীবকে মানিয়ে নিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। অন্যদিকে , প্রতিকূল প্রকরণ সম্পন্ন জীব পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
প্রশ্ন-১৫। প্রাকৃতিক নির্বাচন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ডারউইনের মতে জীবন-সংগ্রামে সেই সব প্রাণী সাফল্য লাভ করে যাদের শারীরিক গঠন প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে পরিবর্তিত হয়। তারা পরবর্তনশীলতায় দক্ষতার পরিচয় দিয়ে অভিযোজিত গুণগুলো বংশপরম্পরায় সঞ্চিরিত হয়ে বেঁচে থাকার বা বিবর্তনের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়। অন্যদিকে হয় এ ধরনের পরিবর্তনশীলতায় অংশগ্রহণ করতে পারে না তারা প্রকৃতি কর্তৃক মনোনীত হয় না। ফলে তাদের বিলুপ্তি ঘটে। প্রাচীনকালের প্রাণী ডাইনোসর বলিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে অভিযোজিত না হতে পবায় বিলুপ্তি হয়েছে।
প্রশ্ন-১৬। DNA টেস্ট করা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :বিভিন্ন জৈবিক নমুনা থেকে DNA সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ পূর্বক বিশেষ কোনো কাজে ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিকে বলা হয় DNA টেস্ট। সঠিকভাবে অপরাধী শনাক্তকরণের জন্য DNA টেস্ট করা হয়। এছাড়া বংশগত রোগের চিকিৎসায়, অনাকাঙ্খিত সন্তানের পিতৃত্ব নির্ণয়ের জনও DNA টেস্ট’ করা হয়। এসকল ক্ষেত্রে DNA টেস্ট সঠিক ফলাফল প্রদান করে থাকে।
প্রশ্ন-১৭। RNA কি দিয়ে গঠিত?
উত্তর: RNA পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট রাইবোজ শর্করা, অজৈব ফসফেট এবং নাইট্রোজেন বেস যথা- এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোনিন ও ইউরাসিল, নিয়ে গঠিত। যে সমস্ত ভাইরাস DNA দ্বারা গঠিত নয় তাদের নিউক্লিক এসিড হিসেবে থাকে RNA। এ ক্ষেত্রে RNA-ই বংশগতির বস্তু হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন-১৮। কীভাবে DNA টাইপিং করা হয়?
উত্তর: একটি জৈবিক নমুনা যেমন চুল, রক্ত, লালা, বীর্য ইত্যাদি থেকে DNA কে আলাদা করে পরবর্তীতে তা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের DNA প্রোফাইল (Profile) এর সাথে তুলনা করা হয়। এই পদ্ধতিই DNA টাইপিং নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-১৯। ক্রোমোজোমকে বংশগতির বাহক বলা হয় কেন?
উত্তর: জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী একক হলো জিন। এ জিন ক্রোমোজোমে অবস্থান করে। ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনগুলো বংশগতির গুণাবলি বহন করে এক প্রজন্ম হতে অন্য প্রজন্মে নিয়ে যায়। কোনো একটি জীবে ক্রোমোজোম সংখ্যা ঐ জীবের জন্য নির্দিষ্ট। যেহেতু বংশানুক্রমে জীবের বৈশিষ্ট্য ক্রোমোজোমের মাধ্যমে বাহিত হয় তাই ক্রোমোজোমকে বংশগতির বাহক বলা হয়।
প্রশ্ন-২০। লোকাস বলতে কী বোঝ?
উত্তর: জীবের সব দৃশ্য ও অদৃশ্যমান লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী এককের নাম জিন। এর অবস্থান জীবের ক্রোমোজোমে। ক্রোমোজোমের যে স্থানে জিন অবস্থান করে তাকে ‘লোকাস’ (Locus) বলে।
প্রশ্ন-২১। বর্ণান্ধতা বলতে কি বুঝ?
উত্তর: বর্ণান্ধতা বা কালার ব্লাইন্ড চোখের এমন এক অবস্থা যার ফলে মানুষের চোখের স্নায়ু কোষে রঙ সনাক্তকারী পিগমেন্টের অভাবের কারণে মানুষ রঙের তারতম্য বুঝতে পারে না। এটি একটি বংশগতি ব্যাধি। কালার রাইন্ড রোগীরা সাধারণত লাল ও সবুজ রঙের মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে পারে না।
প্রশ্ন-২২। প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ডারউইনের মতে জীবন-সংগ্রামে সেই সব প্রাণী সাফল্য লাভ করে যাদের শারীরিক গঠন প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে পরিবর্তিত হয়। তারা পরিবর্তনশীলতায় দক্ষতার পরিচয় দিয়ে অভিযোজিত গুণগুলো বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হযে বেঁচে থাকার বা বিবর্তনের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়। অন্যদিকে যারা এ ধরনের পরিবর্তনশীলতায় অংশগ্রহণ করতে পারে না তারা প্রকৃতি কর্তৃক মনোনীত হয় না। ফলে তাদের বিলুপ্তি ঘটে। প্রাচীনকালের প্রাণী ডাইনোসর বলিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে অভিযোজিত না হতে পারায় বিলুপ্ত হয়েছে।
প্রশ্ন-২৩। থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ব্যাখ্যা কর।
বা, থ্যালাসেমিয়া কেন হয়? ব্যাখ্যা কর।
বা, রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগের নাম। এই রোগে লোহিত রক্ত কণিকাগুলো নষ্ট হয়। ফলে রোগী রক্ত শূন্যতায় ভোগে। এই রোগ বংশ পরম্পরায় হয়ে থাকে। থ্যালাসেমিয়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বংশবাহিত রক্তজনিত সমস্যা। লোহিত রক্তকোষ দু’ধরনের প্রোটিন দ্বারা তৈরি, a গ্লোবিউলিন এবং ẞ গ্লোবিউলিন। থ্যালাসেমিয়া হয় লোহিত রক্ত কোষে এ দু’টি প্রোটিনের জিন নষ্ট বা অনুপস্থিত থাকার কারণে।
প্রশ্ন-২৪। জীবের বৈশিষ্ট্য কীভাবে বংশ পরস্পরায় বাহিত হয়?
উত্তর: পৃথিবীর সব জীব তার নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। স্বকীয় বৈশিষ্ট্যগুলি পরবর্তী প্রজন্নে প্রায় অবিকল স্থানান্তর ও পরিস্ফুটিত হয়। পৃথিবীর সব জীবের ক্ষেত্রেই এই প্রাকৃতিক নিয়ম প্রযোজ্য। তাই আমরা ধান গাছের বীজ থেকে ধান, আমের বীজ থেকে আমগাছ, পাটের বীজ থেকে পাটগাছ জন্মাতে দেখি। এভাবেই বংশানুক্রমে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। পিতামাতার বৈশিষ্ট্যগুলো বংশানুক্রমে সন্তানসন্ততির দেহে সঞ্চারিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে “বংশগতি” বলে।
প্রশ্ন-২৫। মধ্য আমেরিকায় কোয়েল পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বন্যা, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝা, বালিঝড়, ভূমিকম্পন, অগ্ন্যুৎপাত-এ ধরনের প্রতিকূক্ত পরিবেশ জীবের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। সুতরাং জীবকে তার অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত এসব প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়। যে প্রাণীগুলো এই পরিবেশে টিকে থাকতে পারে, তারা বেঁচে থাকে। অন্যরা বিলুপ্ত হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে উত্তর এবং মধ্য আমেরিকার কোয়েল পাখি প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের ফলে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।