নতুন কারিকুলাম এর মূলনীতি হচ্ছে – অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিখন ও যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়ন।
এই কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন প্রক্রিয়া ৪টি ধাপে আবর্তিত হবে। যথা – ১. বাস্তব অভিজ্ঞতা ২. পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদন ৩. বিমূর্ত ধারণায়ণ ৪. সক্রিয় পরীক্ষণ।
নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীর যোগ্যতার উপাদান ৪টি যথা – জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি। এই ৪টি উপাদানের ভিত্তিতে প্রতিটি যোগ্যতা মূল্যায়ন করা হবে এবং মূল্যায়ন হবে দুইটি ভাগে। যথা – ১. শিখন কালীন মূল্যায়ন ২. সামষ্টিক মূল্যায়ন। একই সাথে শিক্ষার্থীর আচরণিক ব্যাপার গুলোও মূল্যায়ন করা হবে।
এই প্রক্রিয়ায় শিখন ও মূল্যায়ন একটি সমন্বিত বিষয় এবং ধারাবাহিকভাবে সারা বছরব্যাপী করা হবে।
এ জন্য প্রতিটি বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীর কিছু পারদর্শিতা অর্জনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এগুলোকে বলা হয় শিখন যোগ্যতা। যাকে সংক্ষেপে PI (Performance Indicator) বা পারদর্শিতার সূচক নামে অভিহিত করা হয়। এগুলো তিনটি সূচক যথা – ‘পেরেছে, আংশিক পেরেছে, পারেনি’ এই অর্থে যথাক্রমে ‘ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ’ চিহ্ন দ্বারা মূল্যায়ন করা হবে।
বছর শেষে মোট PI গুলো থেকে প্রাপ্ত ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ অর্থাৎ পেরেছে আর পারেনি এর পার্থক্যকে শতকরায় হিসাব করে ৭টি পর্যায়ে ফলাফল প্রদান করা হবে। ৭টি পর্যায় হলো – (উপর থেকে নিচে) পর্যায়ক্রমে – অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান, প্রারম্ভিক।