এই মহাবিশ্বের সমস্ত কিছুকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে পদার্থ আর অন্যটি হচ্ছে শক্তি। এখানে পদার্থ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যে বস্তুর নির্দিষ্ট ভর আছে এবং জায়গা দখল করে তাকে পদার্থ বলে। আমাদের চারপাশে এর উদাহরণের অভাব নেই। যেমন পাথর, পানি, কেরোসিন, গাছপালা, এরকম অসংখ্য উপাদান এমনকি আমাদের বায়ূমন্ডলও পদার্থের তালিকায় রয়েছে তবে লক্ষনীয় বিষয়, এই পদার্থগুলো সবই একই অবস্থায় নেই। সকল পদার্থগুলো প্রকৃতিতে ৩ টি অবস্থায় বিদ্যমান যথা – ১. কঠিন ২.তরল ৩. গ্যাসীয়।
কঠিন পদার্থ – কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট ভর, নির্দিষ্ট আকার এবং নির্দিষ্ট আয়তন থাকে। কঠিন পদার্থের উপর চাপ প্রয়োগ করলে এরা সংকোচিত হয় না। তাপমাত্রা বাড়ালে কঠিন পদার্থ আয়তনে খুব কম বৃদ্ধি পায়।
তরল পদার্থ – তরল পদার্থের নির্দিষ্ট ভর ও নির্দিষ্ট আয়তন থাকে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার থাকে না। তরল পদার্থকে যেই পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। তরল পদার্থের উপর চাপ প্রয়োগ করলে এদের আয়তন হ্রাস পায় না। তাপমাত্রা বাড়ালে এদের আয়তন বৃদ্ধি পায়, এই বৃদ্ধির পরিমাণ কঠিন পদার্থের চেয়ে বেশি।
গ্যাসীয় পদার্থ – গ্যাসীয় পদার্থের নির্দিষ্ট ভর আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট আকার ও নির্দিষ্ট আয়তন নেই। যেকোন পরিমান গ্যাসীয় পদার্থ যেকোন আয়তনের পাত্রে রাখলে গ্যাসীয় পদার্থ সেই পাত্রের পুরো আয়তন দখল করে। তবে ছোট পাত্রে বেশি পরিমাণ গ্যাসীয় পদার্থ রাখলে পাত্রের দেয়ালে চাপের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ চাপ প্রয়োগ করলে গ্যাসীয় পদার্থের আয়তন অনেক হ্রাস পায় এবং এটিকে ছোট পাত্রে রাখা সম্ভব হয়। আবার তাপ প্রয়োগ করলে গ্যাসীয় পদার্থের আয়তন অনেক বেড়ে যায়।
পদার্থের এই তিনটি অবস্থাকে গতিতত্ত্বের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়। পরবর্তী আলোচনায় গতিতত্ত্বের সাহায্যে পদার্থের এই তিনটি অবস্থা ব্যাখ্যা করে দেখানো হয়েছে।