বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত সকল নিয়মাবলি ও বিস্তারিত তথ্য

মোট ইউনিট সংখ্যাঃ

বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২ টি বিভাগ ও ৫টি অনুষদ রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদের সকল বিষয় সমূহ এই ২টি বিভাগে অন্তর্ভূক্ত।

  • গ্রুপ “ক” (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ)
  • গ্রুপ “খ” (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ,নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ)

বিভিন্ন (বিভাগ/অনুষদের) বিষয়সমূহ ও আসন সংখ্যা

প্রকৌশল অনুষদঃ

  • কেমিকৌশল বিভাগ(Department of Chemical) (৬০)
  • বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ(Department of Matarials and Metallurgical Engineering) (৬০)

পুরকৌশল অনুষদঃ

  • পুরকৌশল বিভাগ(Department of Civil Engineering) (১৯৫)
  • পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ(Department of Water Resources Engineering) (৩০)

যন্ত্রকৌশল অনুষদঃ

  • যন্ত্রকৌশল বিভাগ ( Department of Mechanical Engineering ) (১৮০)
  • নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ (Department of Naval Architecture and production Engineering) (৫৫)
  • ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (Department of Industrial and Production Engineering) (৫০)

তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদঃ

  • তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ ( Department of Electrical and Electronic Engineering ) (১৯৫)
  • কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ( Department of Computer Science and Engineering ) (১২০)
  • বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ( Department of Biomedical Engineering ) (৩০)

স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদঃ

  • স্থাপত্য বিভাগ ( Department of Architecture ) (৫৫)
  • নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ ( Department of Urban and Regional planning ) (৩০)

ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতাঃ

প্রার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক (ssc) পাস করতে হবে এবং জিপিএ ৪.৫০ পেয়ে এবং গণিত,পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ে ৬০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৪৮০ নম্বর পেতে হবে।যে সব শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে গ্ণিত,পদার্থ,রসায়ন,ইংরেজী ও বাংলা এই পাঁচটি বিষয়ে মোট জিপিএ ২২.৫০ পেতে হবে।এই সকল শর্ত পূরণ সাপেক্ষে সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে নির্ধারিত নাম্বারের ভিত্তিতে বাছাই করে ১ম থেকে ১২০০০ আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেয়া হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

  • “ক” গ্রুপের জন্য মোট ৬০০ নাম্বারের পরীক্ষা হবে।তার মধ্যে গ্ণিত (২০০),পদার্থ (২০০),রসায়ন(২০০) নাম্বার।
  • “খ” গ্রুপের জন্য মোট ১০০০ নাম্বারের পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে গ্ণিত(২০০),পদার্থ(২০০),রসায়ন(২০০) এবং মুক্তহস্ত অংকন(৪০০) নাম্বার।

পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও নির্ধারিত নাম্বারঃ

  • গ্রুপ “ক” (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এর জন্য গ্ণিত (২০০),পদার্থ (২০০),রসায়ন(২০০) নাম্বার।
  • গ্রুপ “খ” (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ,নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ এর জন্য গ্ণিত(২০০),পদার্থ(২০০),রসায়ন(২০০) এবং মুক্তহস্ত অংকন(৪০০) নাম্বার।

মেধাতালিকা তৈরী ও প্রার্থী নির্বাচনঃ

কেবলমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের মেধা তালিকা তৈরী করা হবে।ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ১০০৫টি আসন (৩টি সংরক্ষিত আসনসহ) এবং স্থাপত্য বিভাগের জন্য মোট ৫৫টি আসন (১টি সংরক্ষিত আসনসহ) নির্ধারিত আছে।সকল গ্রুপের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নাম্বারের ভিত্তিতে মেধামান নির্ধারণ করা হবে।একাধিক প্রার্থী একই নাম্বার পেলে ভর্তি পরীক্ষায় ক্রমানুসারে গ্ণিত,পদার্থ ও রসায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে মেধামান নির্ণয় করা হবে।

সতর্কতাঃ

পরীক্ষা কক্ষে যা নিতে হবেঃ

  • পরীক্ষা হলে এইচএসসি এর মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট হতে এডমিট কার্ডের রঙিন কপি (ডাউনলোড করতে হবে)

পরীক্ষা কক্ষে যা নেয়া যাবে নাঃ

  • মোবাইল ফোন, প্রোগ্রাম্ড ক্যালকুলেটর সহ যেকোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস।
  • ডিজিটাল ডিকশনারি।
  • অতিরিক্ত কোন কাগজ ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।