যাযাবর পাখিদের সন্ধানে (সেশন ১,২,৩,৪) -বিজ্ঞান (অষ্টম) – অভিজ্ঞতা ১


পৃথিবীপৃষ্ঠে বিভিন্ন জায়গার অবস্থান কিভাবে নির্দিষ্ট করা হয়? – ভৌগোলিক স্থানাঙ্কের মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠের কোন স্থানের জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়। যেখানে মূল মধ্যরেখার পূর্ব বা পশ্চিমে বুঝাতে দ্রাঘিমাংশ এবং বিষুবরেখার উত্তরে বা দক্ষিনে বুঝাতে অক্ষাংশ ব্যবহার করা হয়।

দ্রাঘিমা রেখা কি? – পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত লম্বালম্বি খাড়া রেখা গুলোকে দ্রাঘিমা রেখা বলে।

অক্ষরেখা কি? – পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে আড়াআড়িভাবে অঙ্কিত বৃত্তগুলোকে অক্ষরেখা বলে।

বিষুব রেখা কি? – উত্তর ও দক্ষিণ মেরু থেকে সমদূরবর্তী স্থানে, অর্থাৎ পৃথিবীর ঠিক মাঝ বরাবর দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে যে রেখাটি কল্পনা করা হয় তাকে বিষুব রেখা বা নিরক্ষরেখা বলে।

অক্ষাংশ কি? – বিষুব রেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিনে কোন অক্ষরেখা বিষুব রেখার সাথে পৃথিবীর কেন্দ্রের যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে অক্ষাংশ বলে।

কর্কটক্রান্তি রেখা কাকে বলে? – বিষুব রেখার উত্তরে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে যে অক্ষরেখাটি রয়েছে তাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে।

মকর ক্রান্তি রেখা কাকে বলে? – বিষুব রেখার দক্ষিণে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে যে অক্ষরেখাটি রয়েছে তাকে মকর ক্রান্তি রেখা বলে।

মেরু রেখা কাকে বলে? – বিষুব রেখার সাথে ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণে উত্তরে বা দক্ষিনে যে অক্ষরেখাদ্বয় অবস্থিত তাদের মেরু রেখা বলে। উত্তরে অবস্থিত অক্ষরেখাকে উত্তর মেরু রেখা বলে এবং দক্ষিণে অবস্থিত অক্ষরেখাকে দক্ষিণ মেরু রেখা বলে।

৩য় সেশন

অক্ষাংশে তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। – অক্ষাংশের তাৎপর্য অনেক। কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য অক্ষাংশ জানা থাকা খুব জরুরী। যেহেতু সূর্যের আলো পৃথিবীর সব জায়গায় সমানভাবে পড়ে না। তাই বিভিন্ন অক্ষাংশে তাপমাত্রার পার্থক্য সৃষ্টি হয। তাই কোন স্থানের আবহাওয়া ও জলবায় এবং পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য জানতে অক্ষাংশের গুরুত্ব রয়েছে।

অক্ষাংশের ব্যবহার আলোচনা করো। – কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় অক্ষাংশের ব্যবহার রয়েছে। তাছাড়া অক্ষাংশের সাহায্যে কোন স্থানের আবহাওয়া ও ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যায়। এমনকি কোন স্থানের ঋতুর পরিবর্তন কেমন হবে তা ওই স্থানের অক্ষাংশের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়।

অক্ষাংশের ভিত্তিতে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের নাম ও অবস্থান উল্লেখ করো। – অক্ষাংশের ভিত্তিতে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলকে মোটামুটি তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে যথা- বিষুবীয় অঞ্চল, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল, মেরু অঞ্চল।

বিষুবীয় অঞ্চলের অবস্থান বর্ণনা কর – বিষুব রেখার ২৩.৫ ডিগ্রি উত্তর থেকে ২৩.৫ ডিগ্রী দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত পূর্ব পশ্চিমের সকল অঞ্চলকে বিষুবীয় অঞ্চল বলে।

নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের অবস্থান বর্ণনা কর – বিষুব রেখার ২৩.৫ ডিগ্রি উত্তর থেকে ৬৬.৫ ডিগ্রি উত্তর পর্যন্ত এবং বিষুব রেখার ২৩.৫ ডিগ্রি দক্ষিণ থেকে ৬৬.৫ ডিগ্রি দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল কে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল বলে।

মেরু অঞ্চলের অবস্থান বর্ণনা কর – বিষুব রেখার উত্তরে ৬৬.৫ ডিগ্রি অক্ষরেখা ধারা বেষ্টিত সমগ্র অঞ্চলকে উত্তর মেরু এবং বিষুব রেখার দক্ষিণে ৬৬.৫ ডিগ্রি অক্ষরেখা দ্বারা বেষ্টিত সমগ্র অঞ্চল কে দক্ষিণ মেরু বলে।

দ্রাঘিমা রেখা কী? – পৃথিবীর উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বরাবর লম্বালম্বি রেখা গুলোকে দ্রাঘিমা রেখা বলে।

মূল মধ্যরেখা কি? – লন্ডন শহরের গ্রীনউইচ মান মন্দিরের উপর দিয়ে অঙ্কিত দ্রাঘিমা রেখাকে মূল মধ্যরেখা বলে।

দ্রাঘিমাংশ কি? – কোন স্থানের দ্রাঘিমা রেখা মূল মধ্যরেখার সাথে পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে দ্রাঘিমাংশ বলে।

সেশন ৪

আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কি? – মূল মধ্যরেখা থেকে ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিমে অথবা মূল মধ্যরেখা থেকে ১৮০° পূর্বে সম্পূর্ণ সমুদ্রের উপর দিয়ে যে রেখাটি কল্পনা করা হয়েছে তাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার পূর্বে যে তারিখ থাকে, পশ্চিমে তার থেকে একদিন বেশি থাকে।

সময় ও তারিখ নির্ণয়ের পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর – মূল মধ্যরেখা বা ০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা রেখা থেকে যত পূর্ব দিকে যাওয়া যায় তত সময়ের মান বাড়তে থাকে এবং মূল মধ্যরেখা থেকে যত পশ্চিম দিকে যাওয়া যায় সময়ের মান তত কমতে থাকে। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার দুপাশে দুটি তারিখ থাকে। পূর্ব দিকে রবিবার থাকলে পশ্চিম দিকে সোমবার থাকে।

সেশন ৫

পাখিদের পরিযায়ন ব্যাখ্যা কর – সারা পৃথিবীতে অজস্র পাখি পরিযায়ন করে। তবে এসব পাখিদের পরিযায়নের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। পরিযায়ন পাখিরা সাধারণত শরৎ ও হেমন্তের দিকে দক্ষিণে পরিযায়ন করে। এরা সাধারণত শীতকালটা দক্ষিনে কোন অঞ্চলে কাটায়। বসন্তে তারা আবার উত্তরে যাত্রা শুরু করে। এবং গ্রীষ্মকালে তারা উত্তরে বাসা বাঁধে ও প্রজনন করে।

প্রশ্নাবলী –


  • ৬টি পরিযায়ী পাখির নাম লিখ।
  • পৃথিবী-পৃষ্ঠে বিভিন্ন জায়গার অবস্থান কিভাবে নির্দিষ্ট করা হয়?
  • অক্ষ রেখার ভিত্তিতে সমগ্র পৃথিবীকে কয়টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে?
  • পৃথিবীর মানচিত্রে থাকা লম্বালম্বি ও আড়াআড়ি রেখাগুলো কি কাজে লাগে লিখ।
  • অক্ষাংশ কিভাবে বের করতে হয়?
  • বিষুবরেখা কি?
  • কর্কটক্রান্তি রেখা কি?
  • মকরক্রান্তি রেখা কি?
  • মেরুরেখা কি?
  • অক্ষাংশের ব্যবহার ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
  • দ্রাঘিমাংশ কিভাবে বের করতে হয়?
  • মূলমধ্য রেখা কি?
  • আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কি?
  • দ্রাঘিমাংশের ব্যবহার ও তাৎপর্য লিখ।
  • অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের অবস্থান কিভাবে বের করা হয় আলোচনা করো।
  • কোন স্থানের সময় ও তারিখ নির্ণয়ের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।

ব্যবহারিক করণীয় –


  • দলে ভাগ হওয়া
  • পৃথিবীর মডেল প্রস্তুতি
  • মডেলে বিষুবীয় অঞ্চল, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল ও মেরু অঞ্চল চিহ্নিত করণ।
  • বিভিন্ন দেশের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ চিহ্নিত করণ।

প্রয়োজনীয় উপকরণ –



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।