লারাভেল (Laravel)

লারাভেল, পি এইচ পি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুতকৃত একটি ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক। ওয়েভ ফ্রেমওয়ার্ক, একটি এপ্লিকেশান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সকল স্ট্রাকচার তৈরি অবস্থায় সরবরাহ করে। এতে একজন ডেভেলপার, এপ্লিকেশনের কোডিং পর্যায়ের চেয়ে সার্ভিস পর্যায়ে বেশী মনোযোগ দিতে পারে। লারাভেল তার অসাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলোর মাধ্যমে ডেভেলপারদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করে। ডেভেলপমেন্টে যারা নতুন অথবা কিছু অভিজ্ঞতা আছে উভয়ের জন্যই লারাভেল খুবই চমৎকার একটি ফ্রেমওয়ার্ক। এটি শিখতে খুব বেশী বেগ পেতে হয় না।

এই বিদ্যাবিন্দু থেকে ধারাবাহিকভাবে লারাভেল সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বেসিক থেকে এডভান্সড পর্যন্ত প্রায় সকল কিছুর বিস্তারিত তোলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

লারাভেল কেন শিখব

একজন ডেভেলপারের জন্য লারাভেল ছাড়াও অনেক ডেভেলপমেন্ট টোলস ও ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে। তার পরেও লারাভেল একজন ডেভেলপারের কাছে সেরা পছন্দ হতে পারে। কারণ এটি ফুল স্টাক এপ্লিকেশান ডেভেলপমেন্টের জন্য অনন্য একটি ডেভেলপমেন্ট টোলস।

জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্ক

লারাভেল খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্রেমওয়ার্ক। দিন দিন এটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর রয়েছে বিশাল ডকোমেন্টেশান, ভিডিও টিউটরিয়াল, ইউজার রিভিও ও বিশাল কমিউনিটি সাপোর্ট। তাছাড়া এর নিজস্ব প্যাকেজ মেনেজার রয়েছে যেখানে লাখ লাখ প্রস্তুতকৃত প্যাকেজ রয়েছে যেগুলো খুব সহজেই আপনার এপ্লিকেশনে ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যদি সিনিয়র ডেপেলপার হোন তাহলে লারাভেল আপনার জন্য দিচ্ছে খুবই শক্তিশালী ফিচার। যেমন – ডিপেনডেন্সি ইনজেকশন, ইউনিট টেস্টিং, কিউই, রিয়েল টাইমস ইভেন্টস এবং আরও অনেক কিছু। এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যায়ক্রমে আলোচলা করা হবে।

কমিউনিটি ফ্রেমওয়ার্ক

লারাভেল, পি এইচ পি ইকোসিস্টেমের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্ক। এর রয়েছে বিশাল কমিউনিটি যেখানে হাজার হাজার মেধাবী ডেভেলপার প্রতিনিয়ত এই ফ্রেমওয়ার্কটিতে অবদান রেখে চলছে। এমনকি আপনিও এই ফ্রেমওয়ার্কে অবদান রাখতে পারেন। লারাভেল সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য এই বিশাল কমিউনিটি মেম্বাররা খুবই সহায়ক।

এই সকল কারণে লারাভেল হতে পারে আপনার পছন্দের অন্যতম একটি ফ্রেমওয়ার্ক।

লারাভেলের প্রথম প্রজেক্ট

লারাভেল শিখতে হলে আপনাকে প্রথেমেই পি এইচ পি সম্পর্কে ভাল ধারণা নিতে হবে। সাথে সাথে অবজেক্ট অরিয়েন্টেট প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। যদি এই দুটি বিষয় মুটামুটি বুঝে থাকেন তাহলে লারাভেল শিখা শুরু করা যেতে পারে।

আমরা লারাভেল প্রজেক্ট তৈরি করার মাধ্যমেই লারাভেল শিখা শুরু করবো। পরবর্তী আলোচনায় আমরা দেখানোর চেষ্টা করবো কিভাবে লারাভেল প্রজেক্ট তৈরি করা যায়। এবং ধীরে ধীরে আমরা লারাভেলের গভীর তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে উইনডোজ। এ ছাড়াও আরও অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যেমন – ম্যাক ওএস, লিনাক্স ইত্যাদি। এখানে উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কিভাবে লারাভেল প্রজেক্ট তৈরি করা যায়, প্রথমে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরবর্তী পাতাটি দেখতে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন —

তথ্যসূত্রঃ

১. লারাভেল ডকোমেন্টেশন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।