ফটোফসফোরাইলেশন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণের সময় যে প্রক্রিয়ায় ADP’ এর সাথে অজৈব ফসফেট (,Pi) মিলিত হয়ে ATP তৈরি করে সে প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে। এ প্রক্রিয়ায় ATP উৎপন্ন হয় এবং ইলেকট্রন NADP কে বিজারিত করে NADPH+H’ উৎপন্ন করে।
ক্যালভিন চক্রকে C3গতিপথ বলা হয় কেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী ক্যালভিন ও তার সহযোগীরা CO2 আত্তীকরণের যে চক্রাকার গতিপথ আবিষ্কার করেন তা ক্যালভিন চক্র নামে পরিচিতি। অধিকাংশ উদ্ভিদ এই প্রক্রিয়ায় শর্করা তৈরি করে। এই গতিপথের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো 3-কার্বনবিশিষ্ট ফসকোগ্লিসারিক এসিড। প্রথম স্থায়ী পদার্থ 3- কার্বনবিশিষ্ট বলে এ চক্রকে C3 চক্র বা গতিপথ বলা হয়।
ATP কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?
উত্তর: জীবন পরিচালনার জন্য জীবকোষে তথা জীবদেহে প্রতিনিয়ত হাজারো রকমের জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। আমরা যে খাবার খাই তা জারিত হয়, সেই জারণ থেকে নির্গত শক্তি দ্বারা ফসফোরাইলেশনের মাধ্যমে ATP তৈরি হয়। শক্তির প্রয়োজন হলে তা আবার ভাঙে। তারপর খাদ্য থেকে শক্তি নিয়ে আবার জোড়া লাগে। এ যেন এক রিচার্জেবল ব্যাটারি। ATP শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এজন্য ATP-কে ‘জৈবমুদ্রা’ বা ‘শক্তিমুদ্রা’ (Biological coin or energy coin) বলা হয়।
জীব কোষে শক্তি সঞ্চয় ও শক্তি নির্গমন চক্রাকারে চলে- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সকল জীবকোষে প্রতিনিয়ত অব্যাহতভাবে বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। এসব ক্রিয়া-বিক্রিয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। এ শক্তির উৎস হিসেবে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, লিপিড ইত্যাদি কোষে সঞ্চিত হয়। শক্তি উৎপাদনকালে এই জটিল খাদ্যদ্রব্য ভেঙ্গে সরল দ্রব্যে পরিণত হয় এবং শক্তি নির্গত হয়। তাই বলা যায় যে, জীব কোষে শক্তি সঞ্চয় ও শক্তি র্নিগমিন চক্রাকারে চলে।
ATP রিচার্জেবল ব্যাটারীর সাথে তুলনীয় কেনা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জীবন পরিচালনার জন্য জীবকোষে তথা জীবদেহে প্রতিনিয়ত হাজারো রকমের জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। আমরা যে খাবার খাই তা জারিত হয়। এই জারণ থেকে নির্গত শক্তি দ্বারা ফসফোরাইলেশনের মাধ্যমে ATP তৈরি হয়। শক্তির প্রয়োজন হলে তা আবার ভাঙে। তারপর খাদ্য থেকে শক্তি নিয়ে আবার জোড়া লাগে। এ যেন এক রিচার্জেবল ব্যাটারি। অর্থাৎ ATP শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে।
স্থলজ উদ্ভিদের তুলনায় জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের হার বেশি কেন?
উত্তর: জলজ উদ্ভিদ পানিতে দ্রবীভূত CO2 গ্রহণ করে। বায়ুমণ্ডলে ০.০৩% এবং পানিতে ০.৩% CO2 আছে। কাজেই জলজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণের হার স্থলজ উদ্ভিদ থেকে বেশি। তাই জলজ উদ্ভিদ স্থলজ উদ্ভিদের তুলনায় বেশি শর্করা তৈরি করে। জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ও পাতার ত্বকে ক্লোরোফিল থাকায় পানির নিচে কম তাপমাত্রায় (10°C) ও কম CO2 যুক্ত পরিবেশেও সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে। অন্যদিকে বিকেলের দিকে পাতায় বেশি শর্করা জমা হয় বলে সালোকসংশ্লেষণ গতি মন্থর হয়ে যায়।
গ্লাইকোলাইসিস বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: এই প্রক্রিয়ায় এক অণু গ্লুকোজ C6 H12O6বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারিত হয়ে দুই অণু পাইরুভিক C3H4O3 উৎপন্ন করে।এই ধাপে চার অণু ATP (দুই অণু খরচ হয়ে যায়) NADH2 উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ার জন্য কোনো অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে না তাই গ্লাইকোলাইসিস সবাত ও অবাত উভয় প্রকার শ্বসনেরই প্রথম পর্যায়। গ্লাইকোলাইসিসের বিক্রিয়াগুলো কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে থাকে।
ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন?
উত্তর: যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বাসনিক বস্তু (শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন ধরনের জৈব এসিড) সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে CO3,H20 এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে, তাকে সবাত শ্বসন বলে। কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বাঁচতে পারে না। এদের শক্তি উৎপাদনের একমাত্র উপায় হলো অবাত শ্বসন। তাই ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন না হয়ে অবাত শ্বসন হয়।
C4উদ্ভিদ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: যে সমস্ত উদ্ভিদে C4 চক্র ঘটে এবং প্রথম স্থায়ী উপাদান হিসেবে চার কার্বন বিশিষ্ট অক্সালো অ্যাসিটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, তাদেরকে C4 উদ্ভিদ বলে। উদ্ভিদে একই সাথে হ্যাচ ও স্ল্যাক চক্র এবং ক্যালভিন চক্রে পরিচালিত হতে দেখা যায়। এ কারণে C3 উদ্ভিদের তুলনায় C4 উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণের হার বেশি এবং উৎপাদন ক্ষমতাও বেশি। সাধারণত ভুট্টা, আখ, অন্যান্য ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ, মুথা ঘাস, অ্যামারেনথাস ইত্যাদি উদ্ভিদে C4পরিচালিত হয়।
আলোক পর্যায়ে পানি ভাঙ্গনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলর সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন (O2) হাইড্রোজেন, আয়ন বা প্রোটন (H+) এবং ইলেকট্রন (e–) উৎপন্ন হয়। পানির এরূপ ভাঙ্গনকে ফটোলাইসিস বলে। ফটোলাইসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন ইলেকট্রন সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় এবং প্রোটন (H+) NADP কে বিজারিত করে (NADPH+H’) তে পরিণত করে।
পাউরুটি ফাঁপা হয় কেন?
উত্তর: পাউরুটি তৈরিতে ঈস্টের ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া তথা অবাত শ্বসনকে কাজে লাগানো হয়। ময়দা ও চিনির সাথে ঈস্ট যোগ করে পাউরুটি তৈরি কর হয়। মিশ্রিত ঈস্টের অবাত শ্বসনের ফলে অ্যালকোহল CO2 গ্যাস তৈরি হয়। CO2 গ্যাস এর চাপে পাউরুটি ফুলে ফাঁপা হয় এবং আালকোহল তাপে বাষ্প উড়ে যায়।
বিকেল বেলা উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণের হার কমে যায় কেন?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণের অন্যতম প্রভাবক হলো সুর্যালোক ও তাপমাত্রা সূর্যালোক ও তাপমাত্রার পরিমাণ কমে গেলে, সালোকসংশ্লেষণের হারও কমে যায়। বিকেল বেলা পৃথিবীতে আলোক ঘনত্ব ও তাপমাত্রা উভয়ই হ্রাস পায়। এছাড়াও পাতায় বেশি শর্করা জমা হয় বলে বিকেল বেলা সালোকসংশে গতি মঞ্জুর হয়।
শৈবাল কীভাবে খাদ্য উৎপাদন করে?
উত্তর: শৈবাল একটি সবুজ উদ্ভিদ। সবুজ উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো যে এরা সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড CO2এবং পনি H2O থেকে ফটোসিনথেসিস বা সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাদ্য উৎপাদন করে। এই পর্যায় আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রুপান্তরিত হয় । সালোকসংশ্লেষণ একটি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া, যেটি এরকম:
6CO2 +12H2O আলো/ক্লোরোফিল ,C6H12O6 +6H2O+6O2
তাই বলা যায় যে, শৈবাল সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করে।
তাপমাত্রা সালোকসংশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:সাধারণত অতি নিম্ন তাপমাত্রা (0 সে.) এই কাছাকাছি এবং অতি উচ্চ পায়(45 সে.) সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চলতে পারে না। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য পরিমিত তাপমাত্রা হলো 22°সে থেকে 35°সে তাপ মাত্রা পর্যন্ত। তাপমাত্রা 22 সে এর কম বা 35 এর বেশি হলে সালেকসংশ্লেষণের হার কমে যায়। তাই তাপমাত্রা সালোকসংশ্লেষণের একটিগুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক।
সালোকসংশ্লেষণের হার কীভাবে ক্লোরোপ্লাস্ট সৃষ্টির সাথে দম্পর্কিত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পাতায় ক্লোরোফিলের পরিমাণের সাথে সালোকসংশ্লেষণের হারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, কারণ একমাত্র ক্লোরোফিলই আলোকশক্তি গ্রহণ করতে পারে। পুরাতন ক্লোরোপ্লাস্ট নষ্ট হয়ে যায় এবং তখন নতুন ক্লোরোপ্লাস্ট সংশ্লেষিত হয়। নতুন ক্লোরোপ্লাস্ট এবং ক্লোরোপ্লাস্টের উপাদান সৃষ্টির হারের উপর সালকসংশ্লেষণের হার নির্ভরশীল। সালোকসংশ্লেষণ ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য ক্লোরোপ্লাস্টের বিভিন্ন উপাদান দ্রুত এবং প্রচুর পরিমাণে পুনর্গঠিত হওয়া প্রয়োজন। তবে কোষে খুব বেশি পরিমাণ ক্লোরোফিল থাকলে এনজাইমের অভাব দেখা দেয় এবং সালোকসংশ্লেষণ কমে যায়।
C3 ও C4 উদ্ভিদের মধ্যে দুটি পার্থক্য লিখ?
উত্তর:C3 ও C4 উদ্ভিদের মধ্যে দুটি পার্থক্য
i)C3 উদ্ভিদ-
যে সকল উদ্ভিদে ক্যালোভিন চক্র ঘটে এবং প্রথম স্থায়ী পদার্থ হিসেবে ৩-কার্বনবিশিষ্ট ফসফোগ্লিসারিক এসিড থাকে তাদেরকে C3 উদ্ভিদ বলে।
C3 উদ্ভিদের তুলনায় C4 উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণ হার বেশি এবং উৎপাদন ক্ষমতাও বেশি।
ii)C4উদ্ভিদ
যে সমস্ত উদ্ভিদে C3 চক্র ঘটে এবং প্রথম স্থায়ী উপাদান হিসেবে চার কার্বন বিশিষ্ট অক্সালো অ্যাসিটিক উৎপন্ন হয়, তাদেরকে C4 উদ্ভিদ বলে।
C4 উদ্ভিদের তুলনায় C3 উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণ হার কম এবং উৎপাদন ক্ষমতাও কম।
অ্যামারন্যথাস কে C4 উদ্ভিদ বলা হয় কেন?
উত্তর:যে সমস্ত উদ্ভিদে C4 চক্র ঘটে এবং প্রথম স্থায়ী উপাদান হিসেবে চার কার্বন বিশিষ্ট অক্সালো আসিটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, তাদেরকে C4 উদ্ভিদ বলে। C4 উদ্ভিদে একই সাথে হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্র এবং ক্যালভিন চক্র পরিচালিত হতে দেখা যায়। C3 সাধারণত ভুট্টা, আখ, অন্যান্য ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ, মুথা ঘাস, অ্যামারেনথাস ইত্যাদি উদ্ভিদে C4 চক্র পরিচালিত হয়। তাই অ্যামারনাখাসকে C4 উদ্ভিদ বলা হয়।
সালোকসংশ্লেষণকে কার্বন আত্মীকরণ প্রক্রিয়া বলা হয় কেন।
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোষের ক্লোরোপ্লাস্টে বায়ু CO2 পানি, আলো ইত্যাদি প্রভাবকের সহয়তায় জারিত হয়ে শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন করে। এ প্রক্রিয়ায় আলোক পর্যায়ে আলোর উপস্থিতিতে ক্লোরোপ্লাস্ট যে শক্তি উৎপন্ন হয় তার সাহায্যে অন্ধকার পর্যায়ে CO2 আত্নীকৃত হয়ে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি হয়। তাই সালোকসংশ্লেষণকে কার্বন আত্মীকরণ প্রক্রিয়া বলা হয় ।
C4 উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণের হার বেশি হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে সমস্ত উদ্ভিদে c4 চক্র ঘটে এবং প্রথম স্থায়ী উপাদান হিসেবে চার কার্বন অক্সালো অ্যাসিটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, তাদেরকে C4 উদ্ভিদ বলে। C4 উদ্ভিদ একই সাথে হ্যাচ ও স্ল্যাক চক্র এবং ক্যালভিন চক্র পরিচালিত হতে দেখা যায়। এ কারণে C3 উদ্ভিদের তুলনায় C4 উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণের হার বেশি এবং উৎপাদন ক্ষমতাও বেশি। সাধারণত ভুট্টা, আখ, অন্যান্য, ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ , মুথা যাস, অ্যামারেনথাস ইত্যাদি উদ্ভিদে C4 পরিচালিত হয়।
সালোকসংশ্লেষণ সংঘটনের আদর্শ স্থান পাতা কেন?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ কখনোই ক্লোরোফিলের অনুপস্থিতিতে সম্ভব নয়। সাধারণত উদ্ভিদের অন্যান্য অঙ্গ যেমন কাণ্ড ও মূলে কোনো ক্লোরোফিল থাকে না। শুধুমাত্র সবুজ পাতাতেই ক্লোরোফিল থাকে। এ কারণেই সালোকসংশ্লেষণ সংঘটনের আদর্শ স্থান হল পাতা।
সালোকসংশ্লেষণে সৃষ্ট O2 এর উৎস ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বৃটিশ প্রাণ-রসায়নবিদ রবিন হিল CO2 এর অনুপস্থিতিতে পানি, কিছু হাইড্রোজেন গ্রাহক ও পৃথকীকৃত ক্লোরোপ্লাস্ট একত্রে আলোতে রাখেন। পরীক্ষা শেষে দেখা যায় যে, CO2 এর অনুপস্থিতির কারণে শর্করা তৈরি হয়নি।কিন্তু পানি থেকে হাইড্রোজেন গ্রাহক কর্তৃক হাইড্রোজেন গৃহীত হয়েছে এবং অক্সিজেন নির্গত হয়েছে। এ পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয় যে, সালোকসংশ্লেষণ অক্সিজেনের উৎস পানি।
অবাত শ্বসনের ধাপগুলোতে কি কি উৎপন্ন হয়?
উত্তর: দুইটি ধাপে অবাত শ্বসন হয়ে থাকে। ধাপ দুটি হলো।
ধাপ-১: গ্লাইকোলাইসিস->এই ধাপে এক অনু গ্লুকোজ থেকে দুই অণু পইরুবিক এসিড, চার অণু ATP (এর মধ্যে দুই অণু ব্যবহার হয়ে যায়) দুই অণু NADH+ H’ উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ এটি সবাত শ্বসনের গ্লাইকোলাইসিসের অনুরূপ।
ধাপ-২: পাইরুতিক এসিডের অসম্পূর্ণ বিজারণ-> সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত এনজাইমের কার্যকারিতায় পাইরুভিক এসিড বিজারিত হয়ে CO2এবং ইথাইল অ্যালকোহল অথবা শুধু ল্যাকটিক এসিড উৎপন্ন করে।
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আলো অপরিহার্য কেন?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আলো অপরিহার্য কারণ উদ্ভিদ আলোক শক্তি ব্যবহার করে উক্ত পর্যায়ের মাধ্যমে ATP তৈরি করে। এছাড়া উক্ত পর্যায়ের পানি ভেঙ্গে ইলেকট্রন (c), প্রোটন ( H’ ) ও অক্সিজেন তৈরি হয়। এই প্রোটন (H’) NADP কে বিজারিত করে NADPH2তে পরিণত করে। ATP ও 2 কে আত্মীকরণ শক্তি বলে। এগুলো উদ্ভিদের বিভিন্ন জৈবিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
পৃথিবীতে সূর্যের আলো না থাকলে কী হতো?
উত্তর: পৃথিবীতে যদি সূর্যের আলো না থাকত, তাহলে সালোকসংশ্লেষণ হতে না। সালোকসংশ্লেষণ না হলে কোনো প্রকার খাদ্য প্রস্তুত হতো না। খাদ্য না হলে পৃথিবীতে কোনো শক্তির আগমন ঘটত না। পৃথিবী হয়ে পড়ত নিশ্চল। সূর্যালোক না থাকলে কোনো জীবেরই অস্তিত্ব থাকত না।
শ্বসনের উপর তাপমাত্রা, আলো ও অক্সিজেন কিরূপ প্রভাব বিস্তার করো।
উত্তর: নিম্নে শ্বসনের উপর অপমাত্রা, আলো ও অক্সিজেনের প্রভাব কানা কন্সা
তাপমাত্রা: ২০° সে. এর নিচে এবং ৪৫° সে. এর উপরের তাপমাত্রায় শ্বসনের হার কমে যায়। শ্বসনের জন্য উত্তম তাপমাত্রা হল ২০° ৪৫° সে.।
আলো: আলোতে পত্ররন্ধ খোলা থাকে, তাই দিনের বেলায় শুমন আপেক্ষাকৃত বেশি থাকে।
অক্সিজেন। অক্সিজেনের পরিমাণ কম হলে সবাত শ্বসনের হার কমে যায়।
পানির সালোক বিভাজন কী?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় সূর্যালোক ও ক্রোয়োফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন করে তাকে পানির সালোক বিভাজন বলে।
সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত উপাদানসমূহ উদ্ভিদ কীভাবে পেয়ে থাকে লেখ।
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত উপাদানগুলো হলো:
১। পানি,
২। কার্বন ডাইঅক্সাইড,
৩। সূর্যালোক শক্তি।
উপাদানসমূহ যেভাবে পেয়ে থাকে:
১|পানি—-> মূলের মাধ্যমে মাটির নিচ থেকে।
২কার্বন-ডাই-অক্সাইড—–> বাতাস থেকে।
৩।সূর্যালোক শক্তি—-> সূর্য থেকে।
দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: দুপুরের পর পৃথিবীতে আলোক ঘনত্ব ও তাপমাত্রা উভয়ই হ্রাস পায় ফলে সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যায়। সালোকসংশ্লেষণ চলাকালীণ শর্করা পরিবহন কম হলে তা সেখানে জমা হয়ে থাকে। দুপুরের পর পাতায় বেশি শর্করা জমা হয় বলে সালোকসংশ্লেষণের গতি মন্থর হয়।
চারা থেকে উদ্ভিদে ফুল ফোটানো পর্যন্ত শ্বসনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শ্বসন প্রক্রিয়া উদ্ভিদে খনিজ লবণ পরিশোষণে সাহায্য করে, বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়া চালু রাখে। কেষ বিভাজনের প্রয়োজনীয় শক্তি ও কিছু আনুষঙ্গিক পদার্থ শ্বসন প্রক্রিয়া থেকে আসে। তাই বলা যেতে পারে এ প্রক্রিয়া জীবের দৈহিক বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করে। এ প্রক্রিয়া বিভিন্ন উপক্ষার ও জৈব এসিড সৃষ্টিতে সহায়তা করার মাধ্যমে জীবনের অন্যান্য জৈরিক কাজেও সহায়তা করে।
সুতরাং, শ্বসনের ফলে উৎপন্ন শক্তি জীব কাজে লাগিয়ে দৈহিক বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ, জনন ইত্যাদি সম্পন্ন করে। অর্থাৎ চারা থেকে ফুল ফোটানো পর্যন্ত শ্বসনের ভূমিকা অত্যাধিক।
অ্যাসিটাইল কো-এ পর্যায়ে কি কি উৎপন্ন হয়?
উত্তর:অ্যাসিটাইল কো–এ সৃষ্টি পর্যায়ে দুই অণু পাইরুতিক এসিড হতে ২ অনু অ্যাসিটাইল কো-এ, ২ অণু CO2, এবং ২ অণু NADIH2 উৎপন্ন হয়।